1. admin@bdnews-tv.com : admin :
শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৫৬ পূর্বাহ্ন

বাবু’র চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সিএনজি চালক ও মালিকদের আন্দোলনে ঢাকা মাওয়া মহাসড়ক অবরুদ্ধ       

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২০ জুন, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

গত ১৭ জুন, শনিবার দীর্ঘ সময় ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল সিএনজি চালক ও মালিকদের আন্দোলনে। এসময় ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে টানা আট ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল।

কে এই বাবু যার চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঢাকা মাওয়া বঙ্গবন্ধু মহাসড়ক টানা আট ঘন্টা সিএনজি চালক ও মালিকরা আন্দোলন করে এবং আন্দোলনকারীদের মুখে স্লোগানে শোনা যায় চাঁদাবাজ বাবুর বিচার দূরত্ব গ্রেপ্তার চাই। বুড়িগঙ্গা সেতু অবরোধ করে রাখেন।

এ সময় ঢাকা-মাওয়া বঙ্গবন্ধু মহাসড়কে কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। দীর্ঘক্ষণ হাইওয়ে আটকে থাকার কারনে অনেক ইমারজেন্সি রোগী যথাসময়ে হসপিটালে পৌঁছাতে পারেনি অনেক বিমানের যাত্রী যথাসময়ে ইয়ারপোর্ট পৌঁছাতে পারেনি। এবং যানবাহন থেকে নেমে যাত্রীরা হেঁটে অনেকেই সেতু পার হন। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। বিশেষ করে বয়োবৃদ্ধ ও শিশুযাত্রীদের বিপাকে পড়তে হয়েছে সবচেয়ে বেশী।

পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেও যান চলাচল স্বাভাবিক করতে পারেনি । পরে চাঁদাবাজি বন্ধের আশ্বাস পেয়ে অবরোধ তুলে নেন চালকরা। এদিকে দীর্ঘ আট ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হলেও সেতুতে সিএনজি পারাপার বন্ধ রয়েছে।

জানা গেছে, সিটি করপোরেশনের নামে চাঁদাবাজরা প্রতিদিন জুরাইন পোস্তগোলা সেতুর গোড়ায় সিএনজি প্রতি ৬০ টাকা নেয়। কয়েক দিন আগে ৩০ টাকা চাঁদা নিত। হঠাৎ করে সেটা দ্বিগুণ করা হয়েছে। এই চাঁদার কোনো রশিদ দেয় না তারা। কোনো চালক টাকা দিতে না চাইলে মারধরসহ বিভিন্ন রকম হয়রানি করা হয়।

কেরানীগঞ্জ সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন কবির জানান, সিটি করপোরেশনের নামে চাঁদাবাজির বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

সন্ধ্যার পরে শ্যামপুর থানায় শ্রমিকদের নিয়ে শ্যামপুর ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদ্বয়। কেরানীগঞ্জের টিআই, ঢাকা দক্ষিণ ট্রাফিক এসি এবং দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নূরুল ইসলাম নাহিদ এবং  জুরাইন প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত থেকে সমঝোতা করেন যে, আপাতত এক সপ্তাহের জন্য নতুন এ চাঁদার হার স্থগিত থাকবে,  পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

কে এই চাঁদাবাজ বাবু?

তার গ্রামের বাড়ি কলাতিয়ায়। ২০০৭ সালে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ ৯ নম্বর ওয়ার্ড হাসনাবাদে তার আগমন ঘটে। শাহ আলম সাহেবের ছোট শালা হারুনের বেবি টেক্সির গ্যারেজে দারোয়ান হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেন এবং দারোয়ান হিসেবে এলাকায় পরিচিত লাভ করেন। গ্যারেজটি  হারুন ছেড়ে দেয়ার পরে জমির মূল মালিকের কাছ থেকে ভাড়া নেন বাবু। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি নেতা সেলিম মেম্বারের বোনের সাথে সখ্যতার সুবাদে সেলিম মেম্বারের সাথে পরিচিত হন তিনি।

বর্তমান বাবু যেই গ্যারেজে বসে চাঁদাবাজীর স্টিকার ২,৫০০ / টাকা করে বিক্রি করে মূলত সেই গ্যারজেটিই ছিলো রাইদা গ্যারেজ মালিক মামুনের ছোটো ভাই’র। তাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে গ্যারেজটি বাবু আত্মসাৎ করে। সাংবাদিকরা বাবুর চাঁদাবাজীর বিরুদ্ধে নিউজ করায় বিএনপির সেলিম মেম্বার সাংবাদিকদের হুমকি ধমকি দেন।

বাবুর চাঁদাবাজীর একটি অংশের ভাগ হাসনাবাদ ৯-নং ওয়ার্ড সেলিম মেম্বার পায় বলেও কথিত আছে। সেলিম মেম্বারের সেল্টারে চাঁদাবাজ বাবুর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি চাঁদাবাজ বাবুর। সেলিম মেম্বারের হাত ধরে এক তার সময় পরিচিত হয় পোস্তগোলা ব্রিজের কুখ্যাত চাঁদাবাজ ওয়াসিম ও সম্রাটের সাথে। বেবি টেক্সি চোর ওয়াসিমের বেবি টেক্সি  চুরির সিন্ডিকেটের ব্যবসার ম্যানেজার ছিলেন এই বাবু। শুধু তাই না, তার ছিল চক্রবৃদ্ধি অবৈধ সুদের ব্যবসা।

ওয়াসীমের ক্রসফায়ারের পরে তার চুরিকৃত সব বেবি টেক্সি মালিক হয়ে যান এই বেবি টেক্সি চোর কলাতিয়ার বাবু। কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে চাঁদাবাজ বাবুকে কিছু বলার সাহস কেউ পায় না। কসমোপলিটন স্কুলের গেটে সিএনজির গ্যারেজ দিয়ে  মহল্লার ভিতর যা খুশি তাই করে। এমন কি মহল্লার ভিতরে মহল্লার রাস্তা বন্ধ করে বিশাল বড় মাপের একটি উঁচু করে একটি ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে। মহল্লার বাড়ির মালিকরা বার বার ব্যারিকেট তুলে ফেলার  জন্য চাঁদাবাজ বাবুকে বলার পরেও এবিষয় কাউকে পাত্তা দিচ্ছেন না তিনি। এই ব্যারিকেটের জন্য মহল্লার মানুষের প্রতিনিয়তই চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে। এবং হোন্ডা অটোরিকশা পলটি খেয়ে পড়ে যাচ্ছে প্রায়ই।

সেলিম মেম্বারের বাহিনী বলে কথা। পূর্ণাঙ্গ সাপোর্ট এবং আশীর্বাদ আছে বিএনপির সেলিম মেম্বারের এরপর সে একের পর এক  অপকর্ম করে যাচ্ছে। পোস্তগোলা ব্রিজ সিন্ডিকেট চাঁদাবাজি, জুরাইনের সিএনজি সিন্ডিকে্‌ প্রতিটি  সিএনজির গাড়ির সামনের গ্লাস প্রতিমাসে স্টিকার লাগিয়ে দুই হাজার থেকে ২,৫০০/- টাকা পর্যন্ত চাঁদাবাজি করে প্রতি সিএনজি থেকে প্রায় আট হাজার সিএনজি থেকে প্রতি মাসে ২,৫০০/- টাকা করে নিয়ে প্রায় দুই কোটি টাকা চাঁদা আদায় করেন বাবু।

এখন চাঁদাবাজের আরেক নাম এই বাবুর ভয়ে সাধারণ সিএনজি মালিক ও  ড্রাইভাররা কথা বলার সাহস পান না। সাধারণ সিএনজি ড্রাইভার ও দারোয়ান এখন বাবু সাহেব নামে পরিচিত। এ বিষয় বাবুর কাছে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আইনের তোয়াক্কা করেন না তিনি,  প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই চলেন। এবং তিনি আরো বলেন বলেন, ২/৩ বছর আগে জুরাইন  এলাক্য থাকতেন এবং ইদানীং বসুন্ধরা রিভারভিউতে বসবাস করেন বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার সংবাদকর্মী পরিচয়দানকারী আমিনুল ইসলাম ইমন, ওরফে লিটন নামের এক সংবাদ কর্মীকে প্রতি মাসে মোটা অংকে মাসোরা দেন শুধু সাংবাদিক ম্যানেজ করার জন্য। চাঁদাবাজ বাবুর বক্তব্য-  সবাইকে ম্যানেজ করেই চাঁদাবাজী করি। আপনাদের নিউজে আমার কিছুই হবে না।

এরপরে সেলিম মেম্বারের কাছে গিয়ে চাঁদাবাজ বাবু নালিশ করলে সেলিম মেম্বার সাংবাদিকদের মোবাইলে কল দিয়ে হুমকি প্রদান করেন।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2020-2025
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: FT It