1. admin@bdnews-tv.com : admin :
শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৪৮ পূর্বাহ্ন

নোয়াখালীতে বিদ্যালয়ের কমিটি নিয়ে শিক্ষককে মারধর

বেগমগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৫
নোয়াখালীতে বিদ্যালয়ের কমিটি নিয়ে শিক্ষককে মারধর
নোয়াখালীতে বিদ্যালয়ের কমিটি নিয়ে শিক্ষককে মারধর

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটি নিয়ে বিরোধের জেরে অফিসে ঢুকে প্রধান শিক্ষক ইউনুস নবী মানিক কে (৫৪) বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) বেলা সোয়া ১১টার দিকে উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় কিছু লোকজন ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে একটি বাড়িতে আশ্রয় দেয়। 

 

হামলার শিকার নরোত্তমপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইউনুস নবী মানিক বলেন, ৫ আগস্ট পরে গত ২৪ অক্টোবর তৎকালীন বেগমগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোতাসিম বিল্লার সামনে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি মুক্তার হোসেনের নেতৃত্বে জোর করে আমাকে আমার থেকে পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়া হয়।

 

তাৎক্ষণিক বিষয়টি আমি লিখিত ভাবে বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করি। এ ঘটনার একদিন পর আমি বিদ্যালয়ে গেলে মুক্তার সহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা আমাকে বাধার সৃষ্টি করে এবং জোরপূর্বক থাকতে দেয়নি। 

 

তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন, এরপর এ ঘটনায় আমি নোয়াখালী বেগমগঞ্জ সহকারি জজ আদালতে মামলা দায়ের করলে, আদালত চলতি বছরের ২০মে পর্যন্ত ওই পদত্যাগ পত্রের কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন।

 

বুধবার বেলা সোয়া ১০টার দিকে আমি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষে প্রবেশ করি। এরপর বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি মুক্তার হোসেনের ছোট ভাই একরাম হোসেন, ডাক্তার পারভেজ ও পাকমুন্সির হাট বাজার পরিচালনা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক লুৎফুর রহমানের নেতৃত্বে একদল লোক অফিস কক্ষে ঢুকে, তারা আমাকে বেধড়ক পিটিয়ে শার্ট, প্যান্ট, ছিঁড়ে অর্ধ উলঙ্গ করে অফিস থেকে বের করে দেয়। 

 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নরোত্তমপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি মুক্তার হোসেন অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, আমার ভাই ও আমার কোন লোক এ হামলার সাথে জড়িত নেই। ওই শিক্ষক দুর্নীতিবাজ, এজন্য স্থানীয় লোকজন তাকে পিটিয়ে বের করে দিয়েছে। তারা কেন পিটিয়েছে তা আমি জানিনা। 

 

তার বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত চলছে। তিনি স্কুলে ঢুকতে ইউএনও ও শিক্ষা অফিসারের কোন অনুমতি নেয়নি। উল্টো সন্ত্রাসী নিয়ে স্কুলে ঢুকেন। এর আগেও তিনি একবার সন্ত্রাসী নিয়ে স্কুলে ঢুকতে চেষ্টা করেন।

 

এ বিষয়ে বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নরোত্তমপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মো.আরিফুর রহমান বলেন, যারা প্রধান শিক্ষককে মারধর করেছে, তারাই তাকে বিদ্যালয়ে ঢুকতে দেয় না।

 

প্রধান শিক্ষক স্কুলে যেতে পারে না। স্কুলে যেহেতু যেতে পারে না, সেহেতু তাকে তো আমরা প্রটেকশন দিয়ে স্কুলে নিয়ে যেতে পারবোনা। সে ক্ষেত্রে আমি জেলা শিক্ষা অফিসারের মতামত নিয়ে একজনকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে দিয়েছি।

 

ইউএনও আরো বলেন, ওই শিক্ষক আদালতে মামলা করেছে। আদালতে যদি রায় পায় ভালো কথা। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ আছে, তিনি আগের প্রতিষ্ঠানে যেখানে ছিল, সেখানেও নাকি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে।  

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2020-2025
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: FT It