নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে শিক্ষকের কথামতো কোচিং না করায় পরীক্ষার কক্ষে এক ছাত্রীর খাতা ছিনিয়ে নিয়ে ভুল উত্তর দেওয়ার ঘটনায় দুই শিক্ষককে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর ফরহাদ শামীম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, পরীক্ষার্থী ওই ছাত্রীর অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বামনী উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সচিবকে ডেকে অভিযুক্ত দুই শিক্ষককে পরীক্ষার সব দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত চক্রবর্তীকে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির অন্য ২ সদস্য হলেন- উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এহসানুল হক চৌধুরী ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মাহমুদ। তাদের আগামী ১৫ এপ্রিলের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
অব্যাহতি পাওয়া শিক্ষকরা হলেন, বামনী উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক শাহ কামাল সবুজ ও কক্ষ পরিদর্শক পেশকারহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নুরুল করিম।
অভিযোগে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বামনী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের পরীক্ষার হলে শিক্ষক শাহ কামাল সবুজের প্ররোচনায় কক্ষ পরিদর্শক নুরুল করিম বামনী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী মোসাম্মদ শানজিদা আফরিনকে দেরিতে প্রশ্ন দেন এবং সময় ফুরানোর আগেই উত্তরপত্র ছিনিয়ে নেন। এসময় শাহ কামাল সবুজ ওই ছাত্রীর নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের উত্তরপত্রে ইচ্ছামতো বৃত্ত ভরাট করে জমা দিয়ে দেন। এতে বাধা দেওয়ায় দুই শিক্ষক সবার সামনে ওই ছাত্রীকে হেনস্তা করেন।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর অভিযোগ করেন বলেন, শিক্ষক শাহ কামাল সবুজের কথামতো কোচিং না করায় তিনি ও অপর শিক্ষক পরীক্ষার হলে আমাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালমন্দসহ অসদাচরণ করেন। আমি যেন ফেল করি, এজন্য খাতায় নিজেরা ভুল উত্তর দিয়েছেন।
বিষয়টি কেন্দ্র সচিবকে জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।