চুয়াডাঙ্গায় তরমুজ লালের পরিবর্তে সাদা হওয়াকে কেন্দ্র করে বিক্রেতাকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রক্তাক্ত অবস্থায় তরমুজ বিক্রেতা সহ দুজনকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তরমুজ বিক্রেতা আমিরুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী বা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আল ইমরান জুয়েল।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা শহরের বড়বাজার এলাকার ফেরিঘাট রোডের লোহাপট্টি সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভাধীন বেলগাছি গ্রামের মৃত দুলাল মণ্ডলের ছেলে ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রি রুবেল হোসেন (৩৫) ও শহরের শান্তি পাড়ার সদর আলীর ছেলে ফল ব্যবসায়ী অর্থাৎ তরমুজ বিক্রেরা আমিরুল ইসলাম (৩৭)।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) খালেদুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, তরমুজ লালের পরিবর্তে সাদা হওয়াকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সুত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশের একাধিক দল মাঠে নেমেছে। দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে আহত দুজনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুত্বর আহত একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহীতে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক।
আহত তরমুজ বিক্রেতা আমিরুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার সকালে তরমুজ বিক্রি করাকে কেন্দ্র করে ক্রেতার সঙ্গে বাকবিতন্ডা হয়। রাতে মোটরসাইকেল যোগে আমি ও রুবেল ফেরিঘাট রোড হয়ে বড়বাজারে যাওয়ার পথে সেই ক্রেতা সহ কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। পরে দুজনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। তবে অভিযুক্তদের নাম পরিচয় না জানলেও মুখ পরিচিত।
আহত রুবেল হোসেন বলেন, আমি মোটরসাইকেলের পিছনে বসে ছিলাম। ওরা পিছন থেকে হামলা চালায়। আমি মোটরসাইকেল থেকে পড়ে গেলে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। এতে এ ঘটনার কিছুই আমি জানিনা। আমিরুলের সঙ্গে ছিলাম এ জন্যে আমাকেও কুপিয়ে জখম করেছে তারা।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আল ইমরান জুয়েল বলেন, দুজনের শরীরের বিভিন্নস্থানে ধারাল অস্ত্রের আঘাতের ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। এরমধ্যে রুবেলকে ভর্তি করা হয়েছে এবং আমিরুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী বা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।