নোয়াখালীতে আরাফাত রহমান কোকো ব্যাডমিন্টন টুর্ণামেন্টের আয়োজন করায় জেলা বিএনপির সদস্য গোলাম মোমিত ফয়সাল এবং কবিরহাট উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. শাহাদাত হোসেনকে যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি থেকে শোকজ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাতের মধ্যে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সশরীরের উপস্থিত হয়ে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে। এর আগে সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাতে যুবদলের কেন্দ্রীয় সহ-দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভুইয়ার সই করা একটি কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রেরণ করা হয় ।
শাহাদাত হোসেনকে লেখা চিঠিতে বলা হয়, ‘আপনি উপজেলা যুবদলের আহ্বায়কের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থেকে সংগঠনের নিয়ম বহির্ভূত কার্যক্রম পরিচালনা করছেন বলে যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির দৃষ্টিগোচর হয়েছে।
এমতাবস্থায় সংগঠন বিরোধী এহেন কর্মকান্ডের জন্য কেন আপনার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা আগামি ২৪ ঘন্টার মধ্যে যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়নের সম্মুখে উপস্থিত হয়ে লিখিতভাবে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হলো।’
চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করেন কবিরহাট পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান মঞ্জু। তিনি বলেন, আমাদের দলের শহীদ জিয়া, বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর নামে কোন ধরণের খেলাধূলা বা কোন টুর্ণামেন্টের আয়োজন করতে নিষেধ করা হয়েছে। গোলাম মোমিত ফয়সাল ও মো. শাহাদাত হোসেন দাতা হিসেবে আরফাত রহমান কোকোর নামে একটি ব্যাডমিন্টন খেলার আয়োজন করে। কেন্দ্র থেকে এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে শোকজ করা হয়েছে।
অভিযুক্ত যুবদল নেতা মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, চিঠি পেয়ে আমি লিখিত জবাব নিয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এসেছে। দলের নেতাদের নামে এমন খেলার আয়োজন করা নিষেধ তা আমাদের জানা ছিল না। আমরা নোয়াখালী-৫ আসনের সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় বিএনপি’র পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিষয়ক সহ-সম্পাদক বজলুল করিম চৌধুরী আবেদের পরামর্শে ‘আরফাত রহমান কোকো স্মৃতি প্রাইজমানি ব্যাডমিন্টন টুর্ণামেন্টের আয়োজন করেছিলাম। এজন্য দাতা হিসেবে জেলা বিএনপির সদস্য গোলাম মোমিত ফয়সাল ও আমাকে স-শরীরে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
জেলা বিএনপি নেতা গোলাম মোমিত ফয়সাল বলেন, আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে আরাফাত রহমান কোকোর নামে ব্যাডমিন্টন খেলার আয়োজন করি। কিন্তু বিষয়টি কেন্দ্র থেকে নিষেধ তা আমাদের জানা ছিল না। এ ঘটনায় আমাকে বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে দেখা করে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বিএনপির পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিষয়ক সহ-সম্পাদক বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ দু’নেতার শোকজের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শহীদ জিয়া ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে কোনো খেলার আয়োজন নিষেধ এ বিষয়টি আমারও জানা ছিল না। জানলে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না। এ বিষয়ে আমি উপস্থিত থেকে যুবদল নেতা মো. শাহাদাত হোসেনের লিখিত জবাব জমা দিয়েছি। জেলা বিএনপি নেতা গোলাম মোমিত ফয়সালও তার জবাব জমা দিবেন বলে জানিয়েছেন।