শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে আসামিকে নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়। এর আগে, গত শুক্রবার রাতে উপজেলার একটি বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মো.মোস্তাফিজ (২৭) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাদুউর ইউনিয়নের মান্দাপুর গ্রামের মনুদ্দির বাড়ির কবির হোসনের ছেলে। তিনি সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের সাবেক আনসার সদস্য।পুলিশ জানায়, গত ১৬ আগস্ট রাতে সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের কক্ষে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটে। রাত্রিকালীন ডিউটি করার সময় আনসার সদস্য মোস্তাফিজ উপজেলা পরিসংখ্যান কার্যালয় কর্তৃক চলমান অথনৈথিক শুমারি তালিকাকারীদের ২৮টি মোবাইল ট্যাব ও তিনটি ল্যাপটপ চুরির ঘটনা ঘটায়। পরে চোরাই মোবাইল ট্যাব গুলো অনলাইনে নোয়াখালী সেল বাজার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সেল বাজারের মাধ্যমে নোয়াখালী, ফেনী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে দেয়।
পুলিশ আরও জানায়, ঘটনার কিছু দিন পর চাকরি ছেড়ে দেন ওই আনসার সদস্য। এরপর সুবর্ণচর উপজেলার একটি বাড়িতে ঘর ভাড়া নিয়ে ব্যাটারি চালিক অটোরিকশা চালানো শুরু করেন। গত শুক্রবার রাতে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় পুলিশ তার থেকে চোরাই একটি মোবাইল ট্যাব ও তিনটি ল্যাপটপ উদ্ধার করে। পরে তার ভাষ্যমতে তথ্য প্রযুক্তি সহায়তায় আরও ২২টি ওয়ালটন ট্যাব উদ্ধার করে পুলিশ।
চরজব্বর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহীন মিয়া বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা নেওয়া হয়। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। পরে বিচারক তাকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেয়।