নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে এরশাদ মাঝি (৩৮) নামে এক জেলে’কে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
বৃহস্পতিবার (১৪নভেম্বর) কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য চট্রগ্রামের হাসপাতালে নেয়ার সময় রাত ১০টার দিকে পথেই তার মৃত্যু হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চরফকিরা ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের গুচ্ছগ্রামের নদীর পাড়ে তার উপর হামলার ঘটনা ঘটে।
নিহত এরশাদ মাঝি উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের গুচ্ছগ্রামের রেজাউল হকের বাড়ীর মো.রেজাউল হক এর ছেলে। তিনি জেলে হিসেবে নদীতে মাছ ধরে জীবন-জিবিকা নির্বাহ করতেন।
নিহতের ভগ্নিপতি ও প্রত্যক্ষদর্শী আলমগীর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে তার ভাই (স্যালক) নদীর পাশের একটি খালে মাছ ধরছিলো। এ সময় বাবর বাহিনীর বাবর, সমির বাহিনীর সমির খান, জাবেদ খান,জিয়া খান ও নিজাম বাহিনীর সদস্যরা এরশাদ এর কাছে চাঁদা চেয়ে টাকা না পেয়ে তার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তারা এরশাদ’কে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে ফেলে রেখে যায়।
পরে স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় এরশাদ’কে উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্রগ্রাম হাসপাতালে রেফার করে। গুরুত্বর আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য চট্রগ্রামের হাসপাতালে নেয়ার সময় রাত ১০টার দিকে পথেই তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও বলেন,৬দিন আগে চরফকিরা ইউনিয়ন সংলগ্ন মুছাপুরের একটি খালে মাছ ধরতে গেলে বাবর বাহিনীর সদস্যরা এরশাদ এর কাছে দশ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করলে এরশাদ তাদেরকে পাচঁ হাজার টাকা দেয়, অবশিস্ট পাঁচ হাজার টাকা ৫দিন পরে দিবে বলে জানায়। ৫দিন শেষ হয়ে ৬দিন হওয়ার কারণে তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বাবর বাহিনীর বাবর, সমির বাহিনীর সমির খান, জাবেদ খান,জিয়া খান ও নিজাম বাহিনীর সদস্যরা এরশাদ ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় ১৫-২০জন সন্ত্রাসী এরশাদ’কে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে ফেলে রেখে যায়।
উল্লেখ্য, নিজাম বাহিনীর নিজাম ২০০৮ সালে ক্রসফায়ারে নিহত টিপু বাহিনীর সদস্য।
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে ।