1. admin@bdnews-tv.com : admin :
বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ০৮:১৬ অপরাহ্ন

নোয়াখালীর খাদ্য নিয়ন্ত্রক হানি ট্র্যাপের শিকার, ৬০ লাখ টাকায় মুক্তি

বিশেষ প্রতিনিধি
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ৩ মে, ২০২৫
আবারও আলোচনায় ‘হানি ট্র্যাপ’। এবার হানি ট্র্যাপের শিকার হলেন নোয়াখালী জেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।। দাওয়াত রক্ষা করতে গিয়ে জিম্মি হয়ে বেদম নির্যাতন, ব্ল্যাকমেইলিংয়ের পর ৬০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পান তিনি। অনেক আগে থেকেই সংগীতের প্রতি দুর্বলতা সরকারি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম।এর। মাঝে মধ্যেই গান গাওয়ার পাশাপাশি মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় করেন তিনি। এই সুবাদে পরিচয় হয় ঢাকার মডেল তনয়া হোসেনের সঙ্গে, যার প্রকৃত নাম নাজমুন নাহার সুখী (২৮)। এরপর তার সঙ্গে অনেকটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে জাহাঙ্গীর আলমের। তারা একসাথে একটি মিউজিক ভিডিওতে অভিনয়ও করেছেন। তাদের এই সম্পর্কের একপর্যায়ে মঞ্চে আসেন তনয়ার বড় বোন তানিশা, যার আসল  নাম কামরুন নাহার আঁখি (৩২)। তার স্বামী দুবাইতে দুর্ঘটনায় পড়েছেন, চিকিৎসার জন্য দরকার পাঁচ লাখ টাকা- এই কথা বলে জাহাঙ্গীরের কাছে পাঁচ লাখ টাকা সহায়তা চান তানিশা। সহানুভূতিশীল হয়ে সেই টাকা দেন জাহাঙ্গীর। এভাবেই তনয়া-তানিশার ভয়াবহ ফাঁদের শুরু। টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য একদিন তনয়া তাদের ঢাকার বাসায় জাহাঙ্গীর আলমকে দাওয়াত করেন। গত ১৯ এপ্রিল নির্ধারিত সময়ে ঢাকার ছোল মাঈদ উত্তর পাড়ায় তনয়াদের বাসায় যান জাহাঙ্গীর আলম।। কিন্তু তার জন্য যে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা অপেক্ষা করছে তা কল্পনাও করেননি তিনি। ওই বাসায় আগে থেকেই অপেক্ষা করছিল তনয়া-তানিশা সহ চক্রের আরও  দুই সদস্য। জাহাঙ্গীর আলম বাসায় ঢোকার পরই তাকে বেঁধে ফেলে তারা। এরপর শুরু হয় মারধর, শ্বাসরোধে মারার চেষ্টা। প্রাণ বাঁচাতে জাহাঙ্গীরের কাছে দাবি করা হয় এক কোটি টাকা। জিম্মি হয়ে পড়া জাহাঙ্গীর পরিবারের কাছে ফোন করে টাকা পাঠাতে বলেন। এরপর এসএ পরিবহনের মাধ্যমে ৫২ লাখ টাকা এবং বিকাশে পাঠানো হয় আরও ৮ লাখ টাকা। ৬০ লাখ টাকা পাওয়ার পর জাহাঙ্গীর আলমকে বিবস্ত্র করে ছবি ও ভিডিও ধারণ করে তনয়া-তানিশা চক্র।  তাকে হুমকি দেওয়া হয়, যদি কাউকে এ ঘটনা জানায় তবে এসব ছবি-ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হবে সামাজিক মাধ্যমে। রাতে চক্রটি জাহাঙ্গীরকে নিয়ে গাড়িতে করে বেরিয়ে পড়ে। বিভিন্ন পথ ঘুরে তাকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় ফেলে যায় বাড্ডার এক অন্ধকার গলিতে। বির্পযস্ত জাহাঙ্গীর একজন রিকশাচালকের সহায়তায় আশ্রয় নেন একটি হোটেলে। পরে চলে যান চট্টগ্রাম। সেখানে চিকিৎসা নিয়ে শারীরিক ভাবে কিছুটা সুস্থ হলে, ফিরে আসেন ঢাকায় এবং মামলা করেন ভাটারা থানায়। এ ঘটনায় গত ২৬ এপ্রিল তনয়াদের ওই বাসায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে তনয়া, তানিশা, সাফাত ইসলাম ও রুমানা ইসলাম কে। সেখান থেকে উদ্ধার হয় ১৫ লাখ ৪৬ হাজার ৫০০ টাকা। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, বাকি টাকার একটা অংশ জমা রাখে ব্যাংকে, কিছু টাকা দিয়ে তারা আইফোন ক্রয় করেছে। ঘটনা সম্পর্কে জানতে জাহাঙ্গীল আলমের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। তাই তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। হানি ট্র্যাপ সাম্প্রতিক সময়ে বিপুল আলোচিত একটি বিষয়। মডেল মেঘনা আলম ও সৌদি  রাষ্ট্রদূতকে নিয়ে এমনই এক ঘটনায় সংবাদ শিরোনাম হয়, হানি ট্র্যাপ। মডেল মেঘনা আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে বিভিন্ন বিত্তশালীদের হানি ট্র্যাপে ফেলার। বাংলাদেশে মেয়াদ শেষে সৌদি রাষ্ট্রদূতের বিদায়ের সময় সামনে আসে মেঘনা সম্পর্ক। মেঘনা আলমের দাবি, ওই রাস্ট্র দূতের সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছে। আর রাস্ট্র দূতের অভিযোগ, তার কাছে ৫ মিলিয়ন ডলার দাবি করে মেঘনা আলম চক্র। রাস্ট্র দূতের অভিযোগ সূত্রে গত ৯ এপ্রিল রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে আটক করা হয় মিস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মেঘনা আলমকে। পরে তাকে হানি ট্র্যাপ প্রতারণার মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। মামলার বিবরণ অনুযায়ী, মেঘনা আলম , সহযোগী দেওয়ান সমির সহ অচেনা দুই-তিনজনের একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা রূপবতীদের দিয়ে ভিনদেশি কূটনীতিক বা প্রতিনিধি এবং দেশের ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অর্থ আদায় করে আসছে। এ ধরনের ফাঁদে পড়ার হাত থেকে বাঁচতে সবাইকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ। পাশাপাশি যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপ হলে- পুলিশকে জানানোর কথা বলেন ডিএমপির মুখপাত্র মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
আবারও আলোচনায় ‘হানি ট্র্যাপ’। এবার হানি ট্র্যাপের শিকার হলেন নোয়াখালী জেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।। দাওয়াত রক্ষা করতে গিয়ে জিম্মি হয়ে বেদম নির্যাতন, ব্ল্যাকমেইলিংয়ের পর ৬০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পান তিনি। অনেক আগে থেকেই সংগীতের প্রতি দুর্বলতা সরকারি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম।এর। মাঝে মধ্যেই গান গাওয়ার পাশাপাশি মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় করেন তিনি। এই সুবাদে পরিচয় হয় ঢাকার মডেল তনয়া হোসেনের সঙ্গে, যার প্রকৃত নাম নাজমুন নাহার সুখী (২৮)। এরপর তার সঙ্গে অনেকটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে জাহাঙ্গীর আলমের। তারা একসাথে একটি মিউজিক ভিডিওতে অভিনয়ও করেছেন। তাদের এই সম্পর্কের একপর্যায়ে মঞ্চে আসেন তনয়ার বড় বোন তানিশা, যার আসল  নাম কামরুন নাহার আঁখি (৩২)। তার স্বামী দুবাইতে দুর্ঘটনায় পড়েছেন, চিকিৎসার জন্য দরকার পাঁচ লাখ টাকা- এই কথা বলে জাহাঙ্গীরের কাছে পাঁচ লাখ টাকা সহায়তা চান তানিশা। সহানুভূতিশীল হয়ে সেই টাকা দেন জাহাঙ্গীর। এভাবেই তনয়া-তানিশার ভয়াবহ ফাঁদের শুরু। টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য একদিন তনয়া তাদের ঢাকার বাসায় জাহাঙ্গীর আলমকে দাওয়াত করেন। গত ১৯ এপ্রিল নির্ধারিত সময়ে ঢাকার ছোল মাঈদ উত্তর পাড়ায় তনয়াদের বাসায় যান জাহাঙ্গীর আলম।। কিন্তু তার জন্য যে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা অপেক্ষা করছে তা কল্পনাও করেননি তিনি। ওই বাসায় আগে থেকেই অপেক্ষা করছিল তনয়া-তানিশা সহ চক্রের আরও  দুই সদস্য। জাহাঙ্গীর আলম বাসায় ঢোকার পরই তাকে বেঁধে ফেলে তারা। এরপর শুরু হয় মারধর, শ্বাসরোধে মারার চেষ্টা। প্রাণ বাঁচাতে জাহাঙ্গীরের কাছে দাবি করা হয় এক কোটি টাকা। জিম্মি হয়ে পড়া জাহাঙ্গীর পরিবারের কাছে ফোন করে টাকা পাঠাতে বলেন। এরপর এসএ পরিবহনের মাধ্যমে ৫২ লাখ টাকা এবং বিকাশে পাঠানো হয় আরও ৮ লাখ টাকা। ৬০ লাখ টাকা পাওয়ার পর জাহাঙ্গীর আলমকে বিবস্ত্র করে ছবি ও ভিডিও ধারণ করে তনয়া-তানিশা চক্র।  তাকে হুমকি দেওয়া হয়, যদি কাউকে এ ঘটনা জানায় তবে এসব ছবি-ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হবে সামাজিক মাধ্যমে। রাতে চক্রটি জাহাঙ্গীরকে নিয়ে গাড়িতে করে বেরিয়ে পড়ে। বিভিন্ন পথ ঘুরে তাকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় ফেলে যায় বাড্ডার এক অন্ধকার গলিতে। বির্পযস্ত জাহাঙ্গীর একজন রিকশাচালকের সহায়তায় আশ্রয় নেন একটি হোটেলে। পরে চলে যান চট্টগ্রাম। সেখানে চিকিৎসা নিয়ে শারীরিক ভাবে কিছুটা সুস্থ হলে, ফিরে আসেন ঢাকায় এবং মামলা করেন ভাটারা থানায়। এ ঘটনায় গত ২৬ এপ্রিল তনয়াদের ওই বাসায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে তনয়া, তানিশা, সাফাত ইসলাম ও রুমানা ইসলাম কে। সেখান থেকে উদ্ধার হয় ১৫ লাখ ৪৬ হাজার ৫০০ টাকা। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, বাকি টাকার একটা অংশ জমা রাখে ব্যাংকে, কিছু টাকা দিয়ে তারা আইফোন ক্রয় করেছে। ঘটনা সম্পর্কে জানতে জাহাঙ্গীল আলমের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। তাই তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। হানি ট্র্যাপ সাম্প্রতিক সময়ে বিপুল আলোচিত একটি বিষয়। মডেল মেঘনা আলম ও সৌদি  রাষ্ট্রদূতকে নিয়ে এমনই এক ঘটনায় সংবাদ শিরোনাম হয়, হানি ট্র্যাপ। মডেল মেঘনা আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে বিভিন্ন বিত্তশালীদের হানি ট্র্যাপে ফেলার। বাংলাদেশে মেয়াদ শেষে সৌদি রাষ্ট্রদূতের বিদায়ের সময় সামনে আসে মেঘনা সম্পর্ক। মেঘনা আলমের দাবি, ওই রাস্ট্র দূতের সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছে। আর রাস্ট্র দূতের অভিযোগ, তার কাছে ৫ মিলিয়ন ডলার দাবি করে মেঘনা আলম চক্র। রাস্ট্র দূতের অভিযোগ সূত্রে গত ৯ এপ্রিল রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে আটক করা হয় মিস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মেঘনা আলমকে। পরে তাকে হানি ট্র্যাপ প্রতারণার মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। মামলার বিবরণ অনুযায়ী, মেঘনা আলম , সহযোগী দেওয়ান সমির সহ অচেনা দুই-তিনজনের একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা রূপবতীদের দিয়ে ভিনদেশি কূটনীতিক বা প্রতিনিধি এবং দেশের ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অর্থ আদায় করে আসছে। এ ধরনের ফাঁদে পড়ার হাত থেকে বাঁচতে সবাইকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ। পাশাপাশি যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপ হলে- পুলিশকে জানানোর কথা বলেন ডিএমপির মুখপাত্র মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

আবারও আলোচনায় ‘হানি ট্র্যাপ’। এবার হানি ট্র্যাপের শিকার হলেন নোয়াখালী জেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।। দাওয়াত রক্ষা করতে গিয়ে জিম্মি হয়ে বেদম নির্যাতন, ব্ল্যাকমেইলিংয়ের পর ৬০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পান তিনি।

অনেক আগে থেকেই সংগীতের প্রতি দুর্বলতা সরকারি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম।এর। মাঝে মধ্যেই গান গাওয়ার পাশাপাশি মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় করেন তিনি।

এই সুবাদে পরিচয় হয় ঢাকার মডেল তনয়া হোসেনের সঙ্গে, যার প্রকৃত নাম নাজমুন নাহার সুখী (২৮)। এরপর তার সঙ্গে অনেকটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে জাহাঙ্গীর আলমের। তারা একসাথে একটি মিউজিক ভিডিওতে অভিনয়ও করেছেন। তাদের এই সম্পর্কের একপর্যায়ে মঞ্চে আসেন তনয়ার বড় বোন তানিশা, যার আসল  নাম কামরুন নাহার আঁখি (৩২)।

তার স্বামী দুবাইতে দুর্ঘটনায় পড়েছেন, চিকিৎসার জন্য দরকার পাঁচ লাখ টাকা- এই কথা বলে জাহাঙ্গীরের কাছে পাঁচ লাখ টাকা সহায়তা চান তানিশা। সহানুভূতিশীল হয়ে সেই টাকা দেন জাহাঙ্গীর। এভাবেই তনয়া-তানিশার ভয়াবহ ফাঁদের শুরু। টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য একদিন তনয়া তাদের ঢাকার বাসায় জাহাঙ্গীর আলমকে দাওয়াত করেন।

গত ১৯ এপ্রিল নির্ধারিত সময়ে ঢাকার ছোল মাঈদ উত্তর পাড়ায় তনয়াদের বাসায় যান জাহাঙ্গীর আলম।। কিন্তু তার জন্য যে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা অপেক্ষা করছে তা কল্পনাও করেননি তিনি।

ওই বাসায় আগে থেকেই অপেক্ষা করছিল তনয়া-তানিশা সহ চক্রের আরও  দুই সদস্য। জাহাঙ্গীর আলম বাসায় ঢোকার পরই তাকে বেঁধে ফেলে তারা। এরপর শুরু হয় মারধর, শ্বাসরোধে মারার চেষ্টা। প্রাণ বাঁচাতে জাহাঙ্গীরের কাছে দাবি করা হয় এক কোটি টাকা।

জিম্মি হয়ে পড়া জাহাঙ্গীর পরিবারের কাছে ফোন করে টাকা পাঠাতে বলেন। এরপর এসএ পরিবহনের মাধ্যমে ৫২ লাখ টাকা এবং বিকাশে পাঠানো হয় আরও ৮ লাখ টাকা। ৬০ লাখ টাকা পাওয়ার পর জাহাঙ্গীর আলমকে বিবস্ত্র করে ছবি ও ভিডিও ধারণ করে তনয়া-তানিশা চক্র।  তাকে হুমকি দেওয়া হয়, যদি কাউকে এ ঘটনা জানায় তবে এসব ছবি-ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হবে সামাজিক মাধ্যমে। রাতে চক্রটি জাহাঙ্গীরকে নিয়ে গাড়িতে করে বেরিয়ে পড়ে। বিভিন্ন পথ ঘুরে তাকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় ফেলে যায় বাড্ডার এক অন্ধকার গলিতে।

বির্পযস্ত জাহাঙ্গীর একজন রিকশাচালকের সহায়তায় আশ্রয় নেন একটি হোটেলে। পরে চলে যান চট্টগ্রাম। সেখানে চিকিৎসা নিয়ে শারীরিক ভাবে কিছুটা সুস্থ হলে, ফিরে আসেন ঢাকায় এবং মামলা করেন ভাটারা থানায়।

এ ঘটনায় গত ২৬ এপ্রিল তনয়াদের ওই বাসায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে তনয়া, তানিশা, সাফাত ইসলাম ও রুমানা ইসলাম কে। সেখান থেকে উদ্ধার হয় ১৫ লাখ ৪৬ হাজার ৫০০ টাকা। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, বাকি টাকার একটা অংশ জমা রাখে ব্যাংকে, কিছু টাকা দিয়ে তারা আইফোন ক্রয় করেছে।

ঘটনা সম্পর্কে জানতে জাহাঙ্গীল আলমের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। তাই তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। হানি ট্র্যাপ সাম্প্রতিক সময়ে বিপুল আলোচিত একটি বিষয়। মডেল মেঘনা আলম ও সৌদি  রাষ্ট্রদূতকে নিয়ে এমনই এক ঘটনায় সংবাদ শিরোনাম হয়, হানি ট্র্যাপ।

মডেল মেঘনা আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে বিভিন্ন বিত্তশালীদের হানি ট্র্যাপে ফেলার। বাংলাদেশে মেয়াদ শেষে সৌদি রাষ্ট্রদূতের বিদায়ের সময় সামনে আসে মেঘনা সম্পর্ক। মেঘনা আলমের দাবি, ওই রাস্ট্র দূতের সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছে। আর রাস্ট্র দূতের অভিযোগ, তার কাছে ৫ মিলিয়ন ডলার দাবি করে মেঘনা আলম চক্র। রাস্ট্র দূতের অভিযোগ সূত্রে গত ৯ এপ্রিল রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে আটক করা হয় মিস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মেঘনা আলমকে।

পরে তাকে হানি ট্র্যাপ প্রতারণার মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। মামলার বিবরণ অনুযায়ী, মেঘনা আলম , সহযোগী দেওয়ান সমির সহ অচেনা দুই-তিনজনের একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা রূপবতীদের দিয়ে ভিনদেশি কূটনীতিক বা প্রতিনিধি এবং দেশের ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অর্থ আদায় করে আসছে।

এ ধরনের ফাঁদে পড়ার হাত থেকে বাঁচতে সবাইকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ। পাশাপাশি যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপ হলে- পুলিশকে জানানোর কথা বলেন ডিএমপির মুখপাত্র মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2020-2025
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: FT It