নোয়াখালীর কবিরহাটে ফসলিজমি দখল করে ইটভাটা স্থাপন ও জমির মালিককে হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
ফসলিজমি দখল করে ইটভাটা স্থাপন ও জমির মালিককে হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার ৭নং বাটইয়া ইউনিয়নের একতা ব্রিকস ফিল্ড (ইটভাটা) এর মালিক আনোয়ার হোসেন মিরন (৫২)বিরুদ্ধে।
বুধবার (৬ নভেম্বর) সকালে ভুক্তভোগী জাফর আহম্মদ (৮৫) কবিরহাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, অনেক বছর যাবত একতা ব্রিকস ফিল্ড মালিক আনোয়ার হোসেন মিরন ফসলিজমি দখল করে ইটভাটা স্থাপন করায় বিরোধ চলে আসছিল ভুক্তভোগী জাফর আহম্মদের পরিবারের সাথে।
জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে গত ৩ নভেম্বর বিকালে দয়ারামদি গ্রামের হাফেজ আহম্মদ উল্ল্যাহর (ভুক্তভোগীর বাড়ি) বাড়িতে হত্যার হুমকি দেয় উপজেলার ৭নং বাটইয়া ইউনিয়নের ০৭নম্বর ওয়ার্ডের একতা ব্রিকস ফিল্ডের মালিক আনোয়ার হোসেন মিরন।
ভুক্তভোগী জাফর আহম্মদ বলেন, বিগত প্রায় ১৪ বছর যাবত আমার ১৮৫ শতাংশ চাষকৃত ফসলী উপর একতা ব্রিকস ফিল্ডের মালিক আনোয়ার হোসেন মিরন জোর করে জবরদখল করিয়া ইটের ভাটা তৈরি করে রাখছে।
আমি তাকে বিভিন্ন সময় আমার জমি ছেড়ে দিতে বল্লে সে আমাকে এবং আমার পরিবারের সদস্যদেরকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে বিভিন্ন ভাবে প্রাণ নাশের হুমকি দিতো।
প্রায় ৪বছর আগে বিষয়টি এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গকে জানালে তারা বিষয়টি মিমাংসার স্বার্থে সামাজিক বৈঠক হয় গত ২০২২ সালে। তখন আমার জমি লিজ হিসাবে নিয়ে চুক্তি পত্রে স্বাক্ষর করে মিরন। এতে উল্লেখ করা হয়- প্রতিশতাংশ জমি লিজ বাবদ বাৎসরিক ৫০০ টাকা মূল্য প্রদান করিবে। লিজ এর মেয়াদ প্রায় শেষ পর্যায়ে হওয়ার কারনে (ডিসেম্বর ২০২৪)।
এখন আমি আমার জমিতে চাষাবাদ ও কৃষি খামার তৈরি করার জন্য তাকে আমার জমির দখল ছেড়ে দিতে বল্লে- সে আমার জমির দখল ছেড়ে না দিয়ে উল্টো আমাকে এবং আমার পরিবারের সদস্যদেরকে প্রকাশ্যে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
সে আমার জমি গুলো জোর পূর্বক দখল করে তার ইটের ভাটা “একতা ব্রিকস ফিল্ড” তৈরী করে রেখেছে। সে ভাটার গরম চুল্লিতে ফেলে আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের মেরে ফেলবে বলে হুমকি দিচ্ছে। “সে বলে ইটের ভাটার গরম চুল্লিতে ফেলে দিলে কেউ তোদের হাঁড়ও খুঁজে না পাবেনা”।
এমনকি সে এবং তার লোকজন আমাকে বিভিন্ন ভাবে রাস্তা-ঘাটে, দোকানে-বাজারে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে প্রাণনাশের হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। তাদের ভয়ে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা চরম উদ্বেগ, উৎকষ্ঠা-আতংক ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত একতা ব্রিকস ফিল্ড এর মালিক আনোয়ার হোসেন মিরনকে একাধিক বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শাহীন মিয়া বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।