1. admin@bdnews-tv.com : admin :
সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:২৩ পূর্বাহ্ন

নোয়াখালীর কবিরহাটে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর সংবাদ সম্মেলন

জহিরুল হক জহির
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৫
নোয়াখালীর কবিরহাটে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর সংবাদ সম্মেলন
নোয়াখালীর কবিরহাটে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর সংবাদ সম্মেলন

জহিরুল হক জহির:

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১৬ আগষ্ট) বিকালে কবিরহাট উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-নোয়াখালী ৫আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী বেলায়েত হোসেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কবিরহাট উপজেলার আমির ফখরুল ইসলাম মিলন, উপজেলা নায়েবে আমির এনায়েত উল্যাহ, উপজেলা সেক্রেটারী মো. ইয়াসিন, উপজেলা সহসেক্রেটারী মো. আবদুল্লাহ সাইফুল, অর্থ সম্পাদক মাওলানা ওলি উল্যাহ, পৌর আমির মাওলানা ফজলুল্লাহ ও ঘোষবাগ ইউনিয়নের আমির মো. ইউছুপ সহ অন্যান্য নেত্রীবৃন্দ।

কবিরহাট উপজেলার বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামী কবিরহাট উপজেলার আমির ফখরুল ইসলাম মিলন বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কবিরহাট উপজেলা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছে যে, কবিরহাট উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় জনসাধারণ ন্যূনতম নাগরিক সুবিধাগুলো থেকে জনগণ বঞ্চিত হচ্ছেন। যা আমাদের জনজীবনের দৈনন্দিন দুর্ভোগকে আরও  দীর্ঘায়িত করছে।

এমতাবস্থায় একটি সচেতন, দায়িত্বশীল, জনবান্ধব, মানবিক ও দেশপ্রেমিক ইসলামী রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কবিরহাট উপজেলা শাখা পাঁচ লক্ষাধিক জনসংখ্যার এই উপজেলাবাসীর ভোগান্তি ও দুর্ভোগ নিরসনে জনমত গঠনের লক্ষ্যে আয়োজন করছে আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ সম্মেলন।

কবিরহাট উপজেলাবাসীর পক্ষ থেকে আমরা উপজেলার সমস্যাসমূহ বর্তমান সরকার, উন্নয়ন সহযোগী ও দাতা সংস্থা সমূহের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এই উপজেলায় কর্মরত সকল সাংবাদিকদের মাধ্যমে উপস্থাপন করছি।

 

কবিরহাট উপজেলার বসবাসরত পাঁচ লক্ষাধিক মানুষের জনদুর্ভোগের প্রধান প্রধান কারণ সমূহ নিম্নরূপ :

১। রাস্তাঘাট ও যোগাযোগ ব্যবস্থার দূরাবস্থা ।

২। বিদ্যুৎ সংকট ও সীমাহীন লোড শেডিং ।

৩। পানি নিষ্কাশনের অব্যবস্থাপনা ও সৃষ্ট জলাবদ্ধতা ।

৪। স্বাস্থ্যসম্মত ও সুপেয় পানির তীব্র সংকট।

৫। দরিদ্র, কৃষক ও সাধারণ মানুষের চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার চরম দুর্গতি।

৬ । অনিয়ম দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও দলীয়করণের প্রভাবাধীন হওয়ায় সুষম উন্নয়নের ব্যাঘাত।

৭। মাদক, চোরাচালান, জুয়া, ইভটিজিং, চুরি-ডাকাতি, প্রতারণা এবং কিশোর গ্যাং ইত্যাদির অপতৎপরতা।

৮। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী দুশাসনের দীর্ঘ সময়ে অবহেলিত উপেক্ষিত ও উন্নয়ন বঞ্চিত কবিরহাট উপজেলা ।

৯। দেশ ও মানবতা বিরোধী নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও তাদের উচ্ছিষ্টভোগী দোসরদের আস্ফালন ।

 

আমাদের উপজেলায় প্রধান সমস্যাসমূহ:

রাস্তা-ঘাটের করুণ অবস্থা:

গ্রামের ভেতরের রাস্তা, প্রধান সড়ক, ও সংযোগ রাস্তাগুলো দীর্ঘদিন ধরে মেরামতের অভাবে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। রোগী, শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

 

কবিরহাট উপজেলায় একটি পৌরসভা এবং ০৭ টি ইউনিয়ন রয়েছে। পৌরসভা এবং ইউনিয়নের জনগুরুত্বপূর্ণ বাজার সমূহের রাস্তা গর্তে পরিপূর্ণ। বিশেষ করে কবিরহাট এবং চাপরাশিরহাট বাজারের প্রধান সড়কের অবস্থা খুবই নাজুক এবং ঝুঁকিপূর্ণ। কবিরহাট বাজারের প্রধান সড়কের কাজ অসম্পূর্ণ থাকায় প্রতিনিয়ত তীব্র যান-জটের সৃষ্টি হচ্ছে।

কবিরহাট উপজেলার হেডকোয়াটারে অপ্রসস্থ ও অতি সংকীর্ণ মূল সড়ক ও পরিকল্পিত বাজার ব্যবস্থাপনার অভাবে কবিরহাট পৌরসভা ও উপজেলাবাসী এবং এই পথে যাতায়াতকৃত নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সহ আশপাশের লক্ষ-লক্ষ মানুষের দুর্ভোগ চরমে গিয়ে ঠেকেছে।

কবিরহাট পৌরসভা বিগত ১৫ বছরে পরিকল্পিত কোন রাস্তাঘাট কিংবা জনসম্পৃক্ত কোন উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড হয়নি। বর্তমানেও এর কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছেনা বিধায় কবিরহাট পৌরসভা ও উপজেলাবাসী চরমভাবে শঙ্কিত।

সড়কের মধ্যে চাপরাশিরহাট থেকে কালামুন্সি হয়ে আবদুল্যাহ মিয়ারহাট, ধানশালিক বাজার থেকে বেড়ি হয়ে আবদুল্যাহ মিয়ারহাট, আলগী রাস্তার মাথা থেকে চর আলগী বাজার, আবদুল্যাহ মিয়ার হাট থাকে নলুয়া ভূঁঞারহাট হয়ে জনতা বাজার, চাপরাশিরহাট থেকে মন্ডলীয়া বাজার এবং ওটারহাট থেকে কালামিয়ার পোল পর্যন্ত সড়কের অবস্থা বিপদজ্জনক। তাছাড়া পৌরসভা এবং ইউনিয়নের অভ্যন্তরীণ সড়ক সমূহের অবস্থা আরও নাজুক। এলাকাবাসী প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই সমস্ত রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছেন।

 

বিদ্যুৎ সংকট ও লোডশেডিং:

প্রতিনিয়ত বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে কৃষিকাজ, ছোট শিল্প, ছোট ব্যবসা, শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

সামান্য প্রাকৃতিক দূর্যোগে দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যুৎ বিহীন অবস্থায় থাকতে হয়। বিদ্যুতের খুটি না সরিয়ে রাস্তার কাজ চলমান থাকায় জন-জীবন ব্যাপক হুমকীর সম্মুখিন হচ্ছে।

এক কথায় কবিরহাট উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ অপ্রতুল হওয়ায় নিয়মিত লোড শেডিং জনগণের সহ্য সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।

প্রতিদিন ৪/৫ ঘন্টা লোড শেডিং থাকলেও বিদ্যুৎ বিলের কিন্তু কমতি নেই। এই বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার। পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের এই দূর্বল সার্ভিস দেখে ফ্যাসিবাদী ও আওয়ামী দুঃশাসনের ধারাবাহিকতায় যেন চলমান রয়েছে ।

জলাবদ্ধতা:

কবিরহাট উপজেলার অধিকাংশ এলাকা গত বছরের ন্যায় এই বছরও প্রায় ০৩ মাস পর্যন্ত পানির নিচে অবস্থান করছে। দীর্ঘদিন ধরে নোয়াখালী খাল পূর্ব ও তার প্রকৃত নকশা অনুযায়ী খনন না করায় খালের প্রস্ততা হারানো, পানি নিষ্কাশনের স্বাভাবিক ব্যবস্থা না থাকায় এবং নোয়াখালী খালের সংযোগ খালসমূহ দীর্ঘদিন যাবত খননের অভাব, অবৈধ দখলদার মুক্ত না করা, ক্ষমতাশালী দুর্নীতিবাজদের ব্যক্তির স্বার্থে অবৈধভাবে খাল দখল করে নিজস্ব মৎস চাষ এবং ঘর-বাড়ী নির্মাণ করার কারণে সামান্য বৃষ্টিতেই অত্র এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে।

যার ফলে মানুষের জীবন যাপন মারাত্মক ভাবে ব্যহত হচ্ছে এবং নানান ধরনের পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বাজার সমূহে সঠিক এবং পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির সময় ব্যবসায়ী এবং জনসাধারণকে নানান সমস্যার সম্মুখিন হতে হচ্ছে।

 

পানীয় জলের সংকট:

গভীর নলকূপ বা বিশুদ্ধ পানির উৎস নেই বহু এলাকায়। অনেক মানুষ দূর-দূরান্ত থেকে পানি সংগ্রহ করতে বাধ্য হচ্ছে। বিশেষ করে উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের জনগণ গ্রীষ্ম মৌসুমে দীর্ঘসময় ধরে খাবার ও ব্যবহারের পানির তীব্র সংকটের শিকার হয়ে দূর্বিসহ জীবন-যাপনে বাধ্য হচ্ছেন।

চিকিৎসা ও শিক্ষা ব্যবস্থার দুরাবস্থা:

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’সহ ইউনিয়ন কমিউনিটি হেলথ্ ক্লিনিক সমূহে প্রয়োজনীয় জনবল না থাকায় জনসাধারণ কাঙ্খিত মানের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাছাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সমূহে অধিকাংশ সময়ই অপরিচ্ছন্ন থাকায় সেবা নিতে আসা রোগী এবং তাদের আত্মীয় স্বজনদেরকে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হচ্ছে।

 

দুর্নীতি ও দলীয়করণের মাধ্যমে উন্নয়ন বঞ্চনা:

যেসব উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে, সেগুলো দলীয়করণ, দুর্নীতি ও অদক্ষতার কারণে টেকসই হচ্ছে না। প্রকল্পের নামে টাকা লুটপাট হওয়ায় জনসাধারণ তার নায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বাজেটকৃত প্রকল্প সমূহের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি, উদাশীনতা, দায়িত্বহীনতা, নিম্নমানের সরঞ্জাম ব্যবহার এবং যথাসময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন না হওয়ায় জনদুর্ভোগ দিন দিন বেড়েই চলছে।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনে করে, এসব সমস্যা শুধু অব্যবস্থাপনার নয়, এটি একটি চরম অবহেলার ফল। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় চলা প্রশাসন যদি জনগণের কল্যাণে কাজ না করে, তবে তা চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয়ই বহন করে।

 

মাদক, ইভটিজিং, চুরি-ডাকাতি, চাঁদাবাজি এবং কিশোর গ্যাং এর অপতৎপরতা:

কবিরহাট উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে মাদক সেবিদের আড্ডা, মাদক ক্রয়-বিক্রয়, অবাধে মাদক সরবরাহের কারণে এলাকার যুব-সমাজের নৈতিক অবক্ষয় হচ্ছে। যার ফলে তারা বিভিন্ন অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ছে।

মাদকের টাকা সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন চুরি-ডাকাতি, চিনতাই এবং চাঁদাবাজির বিস্তার ঘটছে।

ইতোমধ্যে কবিরহাট উপজেলায় বেশ কিছু গরু চুরি ও খামারে হামলার মত ঘটনাও ঘটেছে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গেইটে কিছু বখাটে উশৃঙ্খল যুবকের আনাগোনার কারণে মেয়ে শিক্ষার্থীদেরকে অনিরাপত্তা ও শঙ্কিতমনে যাতায়াত করতে হচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাজার ও দোকানপাটকে কেন্দ্র করে কিছু কিশোর গ্যাং এর তৎপরতাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তারা সেখানে একত্রিত হয়ে বিভিন্ন খেলার নামে আড্ডা, উশৃঙ্খল আচরণ, মাদক সেবন’সহ ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বিভিন্ন অসামাজিক কার্যক্রমে লিপ্ত হচ্ছে।

 

ফ্যাসিবাদদের অপতৎপরতা:

জুলাই বিপ্লবে অংশগ্রহণকারী ছাত্র জনতার উপর হামলাকারীদের অনেকেই বর্তমানে এলাকাতে স্বগৌরবে বিচরণ করছে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে জুলাই বিপ্লব এবং বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে গুজব ও উসকানীমূলক সংবাদ প্রচার করে জনসাধারণের মাঝে বিভ্রান্তি চড়াচ্ছে।

এমনকি বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টা সহ বিভিন্ন উপদেষ্টা এবং জুলাই বিপ্লবীদের নামে অশ্লীল ভাষায় গালা-গালির মত মিথ্যা সংবাদও প্রচার করছে। হামলাকারীদের নামে আক্রান্ত ছাত্রদের পক্ষ থেকে মামলা করার পরও প্রকৃত আসামীদের গ্রেপ্তার না করে অপেক্ষাকৃত কম অপরাধী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও হয়রানী করা হচ্ছে।

 

উল্লেখিত সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কর্তৃক সরকারের কাছে নিমোক্ত দাবীসমূহ বাস্তবায়নের জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি:

 

আমাদের দাবি সমূহঃ

জরুরি ভিত্তিতে রাস্তা মেরামত ও উন্নয়ন কাজ শুরু করতে হবে।

বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

কবিরহাট পৌরসভায় রাস্তা প্রসস্ত করণের বাস্তবসম্মত উদ্যোগ ও বাইপাস সড়ক নির্মাণ করতে হবে। কবিরহাট জিরো পয়েন্টের মাছের আড়তদার ও সংশ্লিষ্ট মৎস ব্যবসায়ীদেরকে উপযুক্ত স্থানে ব্যবসা করার সুযোগ প্রদান করতে হবে।

 

ময়লা আবর্জনা ড্যাম্প তৈরী করে পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা ও আধুনিক পাবলিক টায়লেট স্থাপন করতে হবে।

সমগ্র কবিরহাট উপজেলার পানি নিষ্কাশন ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে হবে।

নোয়াখালী খাল পূর্বের ম্যাপ অনুযায়ী খননসহ সংযোগ খালসমূহ অল্প সময়ের মধ্যে খনন ও পরিষ্কার করতে হবে।

বিদ্যমান সুইচগেট সমূহ মেরামত এবং আরও  প্রয়োজনীয় সুইচগেট নির্মাণ করে দ্রুত সময়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা ।

 

প্রভাবশালী, দূনীর্তিবাজ ও দূষ্কৃতিকারী মহলের তত্ত্বাবধায়নে থাকা বিভিন্ন প্রজেক্ট ও নির্মিত বাড়ীসমূহ থেকে খাল গুলো মুক্ত করা ।

 

ড্রেনেজ ব্যবস্থা নিশ্চিত রেখে বাজার সমূহের রাস্তা নির্মাণ করা।নিরাপদ পানির জন্য গভীর নলকূপ, ফিল্টার প্লান্ট স্থাপন করতে হবে।

প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু করতে হবে। বিদ্যমান স্বাস্থ্যকেন্দ্র সমূহে উপযুক্ত জনবল নিশ্চিত করা সহ স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ বাস্তবায়নের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

উন্নয়ন কার্যক্রমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং জনঅংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

মাদকের আসর সমূহে পুলিশি অভিযান পরিচালনা সহ মাদক গ্রহনকারী ও সরবরাহকারীকে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

কিশোর গ্যাং সমূহকে চিহ্নিত করে অপরাধ সংশোধন করাসহ তাদেরকে সামাজিক উন্নয়নে অংশগ্রহণ করানোর যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

 

আমাদের অবস্থান:

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সবসময় শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক পন্থায় জনগণের ন্যায্য অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা চাই একটি সমৃদ্ধ, সুশাসিত এবং জনকল্যাণ ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনে সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হোক। আপনাদের মাধ্যমে আমরা এই বার্তা পৌঁছে দিতে চাই—”জনগণের সমস্যা অগ্রাধিকার পেলে তবেই প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব।”

 

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2020-2025
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: FT It