বাংলাদেশী যুবককে পিটিয়ে হত্যার পর লাশ নদীতে ফেলে দেয় বিএসএফ। মহেশপুর উপজেলার পলিয়ানপুর সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক পিটিয়ে হত্যার পর যুবকের মরদেহ ইছামতি নদীতে ফেলে দেয়ার পর লাশ উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা।
ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার পলিয়ানপুর সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক পিটিয়ে হত্যা করা হয় বাংলাদেশী যুবক ওয়াসিম (৩০) কে। হত্যার পর তার মরদেহ ইছামতি নদীতে ফেলে দেয়া হয়।
শুক্রবার (১১এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে ওই যুবকের মরদেহ নদীতে ভেসে ওঠে। প্রথমে বাঘাডাঙ্গার বুনোপাড়া গ্রামের ওয়াসিমের পরিবার সন্দেহ করে, এবং লাশটি তাদের স্বজন বলে শনাক্ত করে। নিহত ওয়াসিম বাঘাডাঙ্গা গ্রামের রমজান আলীর ছেলে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ওবাইদুল ইসলাম জানান, শুক্রবার দুপুরে হুদাপাড়া গ্রামের এক কৃষক মাঠে যাওয়ার সময় নদীতে ভাসমান লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে বিজিবি ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের বিষয়টি নিশ্চিত করে।
ওয়াসিমের বড় ভাই মেহেদী হাসান দাবি করেন, তার ভাই ৩-৪ দিন ধরে নিখোঁজ ছিল। তিনি জানান, ওয়াসিম মাঝে মধ্যে ভারতে ধুড় নিয়ে যাতায়াত করতো এবং গত ৮ এপ্রিল সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে গিয়ে বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে। বিএসএফ তাকে নির্যাতন করে হত্যা করেছে।
বিজিবির ৫৮ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লে কর্ণেল রফিকুল আলম জানান, লাশটি ভারতীয় অংশে ভাসমান ছিল, যার কারণে তা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইয়াসমিন মনিরা বলেন, “ইছামতি নদীর ভারতীয় অংশে একটি লাশ ভাসছে, তবে তার পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।
মহেশপুর থানার ওসি ফয়েজ উদ্দিন মৃধা জানান, বিজিবি-বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে।